বাংলাদেশ পেট্রোকেমিকেল কোম্পানি লিমিটেড – বিপিসিএল এই বারের লিট ফেস্টে সাস্টেইনেবল পার্টনার হিসেবে কাজ করছে। তারা বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গনে ৫ টি ইনোভেটিভ প্লাস্টিক কালেকশন বিন স্থাপন করেছে যা পরবর্তীতে রিসাইকেলের জন্য ব্যবহৃত হবে। এই বিনের উপরে প্লাস্টিক রিসাইক্লিং প্রক্রিয়াটি খুব চমৎকারভাবে দেখানো হয়েছে যাতে ফেস্টে আগত অতিথিরা রিসাইক্লিং সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানতে পারে। এই ভিন্নধর্মী কালেকশন বিন নিয়ে দেশি বিদেশি দর্শনার্থীদের মধ্যে ইতিমধ্যে উত্তেজনা দেখা গিয়েছে। 

বিপিসিএল এর এই ভিন্নধর্মী উদ্যোগ সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানতে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন যে, তাদের মূল উদ্দেশ্য বোতল সংগ্রহ নয় বরং মানুষকে রিসাইকেল প্লাস্টিক ব্যবহারে আগ্রহী করে তোলা। কারন আমাদের এমন কিছু প্রথাগত ধারনা থাকে যা থেকে আমরা কখনোই বের হয়ে আস্তে চাই না। ঠিক তেমনি আমাদের মাঝে একটি ধারনা আছে যে ফেলে দেয়া বোতল থেকে যে বোতল তৈরি হয় তার গুনগত মান অবশ্যই অনেক খারাপ। এই একটি ভুল ধারনার কারনে আমরা প্রতিদিন আমাদের পরিবেশকে হুমকির দিকে ঠেলে দিচ্ছি। কারন এই ধারনাকেই পুজি করে ব্যবসা করছে অনেক কোম্পানি। দিন দিন ভার্জিন প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়েই চলছে ফলে উৎপাদন বাড়ছে।

এখনো সময় আছে আমাদের হাতে আমাদের পরিবেশকে বাঁচানোর। আসুন এখনই সতর্ক হই। বাজারে চাহিদা সৃষ্টি করে ভোক্তা আর সেই ভোক্তা আমরাই। তাই আমরাই পারি বাজারে রিসাইকেল প্লাস্টিকের চাহিদা সৃষ্টি করতে। চাহিদা যখনই বাড়বে সব উৎপাদন প্রতিষ্ঠান ভার্জিন রেজিনের বদলে রিসাইকেল রেজিনউৎপাদন শুরু করবে।

তাই এখনই সময় নিজের দায়িত্বটা পালন করার। অন্যথায় অনেক দেরি হয়ে যাবে।   

এবং আপনি জেনে অবাক হবেন বাংলাদেশে অনেকেই এই মহৎ কাজটি করছে। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ পেট্রোকেমিকেল কোম্পানি লিমিটেড – বিপিসিএল অন্যতম যা বাংলাদেশের একমাত্র পেট বোতল রিসাইক্লিং কোম্পানি। বিপিসিএল বছরে ১০,০০০ মেট্রিক টন রিসাইকেল রেজিন উৎপাদন করে যা দিয়ে বছরে ৬,৫০০ মেট্রিক টন প্লাস্টিক বোতল তৈরী হচ্ছে।